নিউজ ডেস্ক।।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, ধর্ষণ, অপহরণ, চাদাবাজী, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গ্রেফতার এবং জঙ্গীবাদের মতো ঘৃণ্যতম অপরাধ নির্মূল ও সেগুলোর রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি চোরাই কারবারি বন্ধের লক্ষ্যে অসাধু চোর ও ছিনতাই চক্র গ্রেফতার ও তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা সচেষ্ট।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারা যায় যে, ঢাকা মহানগরীর মিরপুর-১ নং এলাকাধীন বাগদাদ শপিং কমপ্লেক্স এর দোকান মালিক মো আবুল হাশেম(৪৩) একজন অসাধু মোবাইল ব্যবসায়ী যিনি সরকারের নির্ধারিত ভ্যাট ও ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে আমদানিকৃত অনিবন্ধিত, চোরাই ও নকল মোবাইল ফোনের পার্টস বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করে রেখেছে বলে জানা যায়। উক্ত তথ্য যাচাইপূর্বক প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৪ মে ২০২২ তারিখ সন্ধ্যা ১৮.৩০ ঘটিকা হতে রাত ২০.৫০ ঘটিকা পর্যন্ত বিটিআরসি এর প্রতিনিধিসহ উক্ত দোকানে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোট ১২৬টি অনিবন্ধিত ও নকল মোবাইল ফোন ও পার্টস (যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১২ লক্ষ টাকা) উদ্ধারসহ অবৈধ চোরাকারবারী মো আবুল হাশেম(৪৩), জেলা- ঢাকা’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি উক্ত অনিবন্ধিত চোরাই মোবাইল ফোন ও ফোনের পার্টসের অবৈধ ব্যবসার সত্যতা স্বীকার করে। অভিযান চলাকালীন বিটিআরসি এর প্রতিনিধি দল তাদের নিজস্ব সফটওয়ার ও সার্ভার এর মাধ্যমে যাচাই করে বর্ণিত ১২৬ টি মোবাইল ফোন সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে চোরাইপথে আমদানিকৃত ঘোষণা করেন।
উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন এবং তার সাথে অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতার করার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
ভবিষ্যতে এরূপ অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page